কানাডার সাস্কাটুন শহরের বাংলাদেশী অভিবাসী জেবুননেসা চপলা প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে কানাডিয়ান ব্রডকাস্টিং করপোরেশন (সিবিসি) থেকে সম্মাননা পেয়েছেন। কম্যুনিটি রেডিওর মাধ্যমে অভিবাসী বিশেষ করে বাঙালিদের জীবন সংগ্রাম, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে তুলে ধরার জন্য তাকে স্বীকৃতি দিয়েছে সিবিসি।
সম্প্রতি সাসকাচুয়ান প্রভিন্সের নতুন প্রজন্মের ৪০ বছরের কম বয়সী ৪০ জন কমিউনিটি নেতা, সংগঠক এবং শিল্পীদের সঙ্গে তাকেও সিবিসি সাসকাচওয়ান ফিউচার-ফোরটি সম্মাননা দেয়া হয়।
জেবুননেসা চপলা জানান, সৃজনশীল সামাজিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে যারা নিজেদেরকে উৎসর্গ করেছেন এবং নিজ কাজের ক্ষেত্রে সামাজিক পরিবর্তন সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছেন, তাদেরকে সিবিসি ভবনে এক বিশাল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সম্মাননা জানানো হয়েছে।
সংগ্রামী চপলা ঘরোয়া সঙ্গীত ও নাচের মাধ্যমে শিশুদের নিজস্ব সংস্কৃতিকে ধারণ করে এগিয়ে যেতেও শেখাচ্ছেন। শুধু তা-ই নয়, বিদেশি সংস্কৃতির সান্নিধ্য যে নিজের সংস্কৃতি এবং জীবন ব্যবস্থাকে সমৃদ্ধ করতে পারে সে বিষয়েও তিনি প্রায় এক যুগ ধরে কাজ করে যাচ্ছেন।
দীর্ঘ প্রবাস জীবনে কখনো উচ্চ শিক্ষার জন্য, আবার কখনো বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থায় কাজ করার সুবাদে সুইডেন, নরওয়ে, নিউ জার্সি, নিউ ইয়র্ক, টরন্টো এবং কানাডার সাস্কাটুন শহরে ঘুরে বেড়িয়েছেন চপলা। গড়ে তুলেছেন কম্যুনিটির সঙ্গে আত্মার সম্পর্ক।
সামাজিক উন্নয়নে অবদানের জন্যই তাকে সম্মাননা জানানো হয়েছে। নিরেপক্ষ বিচারকরা তিন শতাধিক নির্বাচিত প্রতিযোগীর মধ্য থেকে ৪০ জনকে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত করেন বলে চপলা জানান।
চপলা ইউনিভার্সিটি অব সাসকাচুয়ানের নারী, জেন্ডার এবং সেক্সচুয়ালিটিস বিষয়ে ডক্টরেট করছেন। তিনি একাধারে নারী ও অভিবাসী বিষয়ক গবেষক, একনিষ্ঠ সাংস্কৃতিক কর্মী, গায়িকা, বাংলা রেডিও অনুষ্ঠান ‘বাংলার গান ও কথা’ অনুষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা।
দুই সন্তানের মা চপলা বাঙালিদের জন্য বিরল সম্মান এনে দিয়েছেন কমিউনিটি লিডারশিপ, সোশ্যাল একটিভিজম এবং ভলান্টিয়ারিসম ক্যাটাগরিতে।
সাস্কাটুন শহরে মাত্র ১০ জন ব্যক্তি এই সম্মাননা অর্জন করেছেন যাদের মধ্যে চপলা হচ্ছেন প্রথম বাংলাদেশী।